মিডিয়ার অপেশাদার নিমকহারামদের ব্লাকলিস্টেড করা উচিৎ ।। কলাম
সাজু খাদেম আমাদের মিডিয়ার বড় ভাই,
গুনি শিল্পী।
তার মিডিয়ার যাত্রা দীর্ঘ দিনের।
তাঁকে আমরা একজন পেশাদার শিল্পী বলতে পারি। যখন একটি প্রোগ্রাম শ্যুট করা হয় তখন সেখানে প্রীতিকর অপ্রীতিকর নানা ধরনের ঘটনাই ঘটে। মিডিয়ায় এমন ঘটনা বিরল নয়
যে বাবা ছেলে ভাই-ভাই চরিত্রে অভিনয় করেছে কিংবা মা
ছেলে দেবর ভাবীর অভিনয় করেছে।
এটা পেশাদার অভিনয় শিল্পীদের কাছে এত স্বাভাবিক একটি বিষয় যে এটা নিয়ে শ্যুটিং শেষে আর কোন আলাপই হয়না।
হয়তো যখন বাপ্পা ভাই রাজ্জাক চাচাকে ভাই বলে ডাকে তখন হয়তো সবাই বার দুয়েক হেসে ওঠে। ব্যাস ঐ পর্যন্তই। আমরা যারা মিডিয়ায় করে খাই তারা আসলে সময়ের কাছে খুবই অসহায়। ফলে অনন্দ বিনোদন আমাদের শ্যুটিং ফ্লোরেই খুজঁতে হয়। আমার মনে আছে আমি যখন দীপ্ত টিভিতে সিরিয়ালে কাজ করি তখন একমাত্র বন্ধের দিন ছাড়া দিনের বেলায় আমার স্ত্রীর সাথে আমার দেখাই হতো না। যাই হোক বোঝাতে চাইছি মিডিয়াটাই হয়ে ওঠে আমাদের ঘর সংসার আনন্দ বিনোদনের যায়গা। আমরা এখানে সবাই নিজের পরিবরের সদস্যের মত থাকি।
অভিনেত্রী শিরিন আলম হয়তো ছেলের জন্য কিছু রান্না করেছেন কিন্তু ছেলে সকাল বেলা মাকে না বলে অফিসে গেছে শিরিন আপা সেই খাবার সেটে এনে আমাকে খাওয়ালেন। ব্যাপারটা এমন হয়। শিল্পী সরকার অপু দি প্রতিদিন আমার জন্য সেটে পান নিয়ে আসতেন। এখানে আমরা কাউকে আলাদা করে ছেলে কিংবা মেয়ে হিসেবে ট্রিট করি না। যখন আমরা মজা করি তখনও এমন হয়, আমরা বয়স ভুলে যাই।
যারা ফরিদী ভাইয়ের সেটে কাজ করেছেন তারা বিষয়টি ভালো করে জানেন।
"হাসতে হাসতে পেটে খিল"
প্রোগ্রামের সেটে কি হয়েছে তা আমি জানি না। আমি সেই ভিডিওটাও দেখিনি এবং দেখতেও চাই না। আমি আমার কলিগ কিংবা বন্ধুর সাথে মজা করতেই পারি। সেটা কেমন মজা হবে তার লিমিট কতদূর কি হবে তা নির্ভর করে আমার সাথে আমার বন্ধু বা সহকর্মীর সাথে সম্পর্ক কেমন। সাজু খাদেম মিডিয়ার অপরিপক্ক কেউ নন। ওনার পরিমিতি বোধ যথেষ্ট। উনি যা করেছেন তাতে ভুল থাকতে পারেনা একথা আমি বলছি না মোটেই। তবে যে বা যারা ভিডিওটি ইউটিউবে ছেড়েছে সে অন্যায় করেছে। সে প্রফেশনাল ইথিক লঙ্ঘন করেছে। সে যেই হোক যে পদেরই হোক তাকে এই মূহুর্তে মিডিয়ায় চিরদিনের জন্য ব্লাক লিস্টেড করে দেয়া উচিৎ। সে মিডিয়ার জন্য ক্ষতিকর। ভয়ঙ্কর ক্ষতিকর। শ্যুটিং এর সময় অনেক ধরনের দুর্ঘটনা ঘটে থাকে। আজ যদি দুর্ঘটনা বসত কোন সিনিয়র লেডি অর্টিস্টের কাপড় খুলে যেত,
আমার ধারনা ঐ বেইমান নন প্রোফেশনাল কর্মী সেই ভিডিও আপলোড করে দিত।
যাই হোক, সো কল্ড কিছু নারীবাদীরা বিষটি ভিন্ন খাতে প্রবাহের চেষ্টা চালাচ্ছে যা নিতান্তই উদ্দেশ্য প্রনদিত। ধরে নিচ্ছি সাজু খাদেম কাজটি ইচ্ছাকৃত ভাবে করেছে। বলি আপনি কি করছেন? আপনি তো সেই ভিডিওটা দেখার জন্য মানুষকে উৎসাহিত করছেন। কি কি আছে সেই ভিডিওতে তার বর্ননা করে বেড়াচ্ছেন ফেইসবুকে। তাতে কি এদেশের নারীদের হারানো সম্মান ফিরে আসবে? নাকি আপনি মার্কেটিং করে বেড়াচ্ছেন ঐ প্রোগ্রামের? আপনারা সত্যিই সমাজের কনফিউজিং ক্যারেক্টার। আপনাদের মন ড্রেনের ময়লা দিয়ে ভরা। আগে মনটাকে ধুয়ে মুছে ক্লিন করুন দেখবেন সব ঠিক হয়ে গেছে। বাই দ্যা ওয়ে আমি কিন্তু আমার মায়ের স্তনকে দুধ বলি। স্তন বলায় অভ্যস্ত নই।
ধন্যবাদ সকলকে।
২ জানুয়ারি, ২০১৭
২ জানুয়ারি, ২০১৭
কপিরাইটঃ সাইফুল বাতেন টিটো
মোটাদাগের কথা
No comments