Header Ads

CODESMITE
  • সাম্প্রতিক লেখা:

    ডাইরি ।। হঠাৎ এক দিন ।। ১৬/০৬/২০১০

    স্বাভাবিক ভাবে যখন ঘুম ভাঙল তখন সকাল নয়টা বাজে। আমার ঘুম ভাঙে আরো সকালে। কখনও সাড়ে পাঁচটায় কখনও ছয়টায়, তবে সাতটার ওপওে যায়না কখনওই। পানি খেয়ে একটা সিগারেট নিয়ে টয়লেটে গেলাম। নস্তার জন্য যখন গেটে গেলাম সিকিউরিটি গার্ড হেসে বলল 
    - স্যার নাস্তা নাই।
    এমনটা আজকাল  প্রায়ই হয়। সারাদিন মোটামুটি না খেয়েই কাটালাম। দুপুরের খাবার আসতে আসতে শুনলাম সাড়ে তিনটা বাজবে। আমি আর হাঁটতে পারছিলাম নাট। অনেক কষ্ট করে মোর রিল্যাক্স থেকে হেটে মার্মেড ইকো রিসোর্টের দিকে গেলাম। রেষ্টুরেন্টে খাবার অর্ডার কওে মেসবান গোস্ত আর বাটার নান নিলাম দুটি। সার্ভ করতে এসে ওয়েটার কাওসার খেলো কিছু অংশ, জ্যুস বারের সাজ্জাদ এসে খেলো কিছুটা। আমি বললাম 
    - দাঁড়িয়ে কেন সাজ্জাদ? বসে খান।

    ফটোগ্রাফিঃ সাইফুল বাতেন টিটো


    সাজ্জাদ এক মূহুর্তও দেরী করলো না। 
    আমার আর পেট ভরলো না। আমার বেশী  ক্ষুধা পেলে মাধা ব্যথা শুরু হয়। খাবার অনেক আগে থেকেই প্রচন্ড মাথা ব্যথা ছিলো। খাওয়ার পর একটুও কমলো না। রিসিপশনে গেলাম একটা প্যারাসিটামল গোত্রের কিছুর খোঁজে। তন্ন তন্ন করে খুজেও কোন প্যারাসিটামল বা নাপা কিছুই পেলাম না। 
    উঠে চলে যাব এমন সময় রিসিপশনিষ্ট রানা এসে বলল 
    - কাইন্ডলি একটু বসবেন? আমি একটু খেতে যাব।
    খুবই মানবিক আবেদন। আমি তার আবেদন রাখতে গিয়ে সহাস্যে রিসিপশনের পাশের একটি চেয়ারে গিয়ে বসলাম।
    ঠিক তখনই এমডি সাহেবের গাড়ী এসে ঢুকলো।
    আমি দাড়িয়ে গুড আফটার নুন বলে তাকে গ্রীটিংস দিলাম। তিনি জবাব না দিয়ে বললেন
    - আপনি এখানে কেন?
    আমি বললাম 
    - রানা ভাই লাঞ্চে গিয়েছেন তো তাই আমি তাকে হেল্প করার জন্য একটু বসলাম।
    - আপনি কেন? আপনি তো হাউস কিপিং-এর লোক। আপনি এখানে বসবেন না। আপনি আমার এত্ত বড় রিসোর্টেও রিসিপশনে বসলেতো  রিসিপশন নোংড়া হয়ে যাবে। নোংড়া করার রাইট আপনার নাই।
    উপস্থিত সবাই হা করে কথা গুলো শুনলো। আমি মাথা নিচু করে চলে এলাম ষ্টোরে। টের পেলাম মাথা ব্যথা বহুগুন বেড়ে গিয়েছে। ষ্টোরে বসে পুরানো প্রথম আলোয় আনিসুল হকে একটা কলামে মন দেয়ার চেষ্টা করলাম। কিছু সময় পর প্রত্যেকটি কটেজ চেক রি-চেক করে আবার এসে বললাম। টের পেলাম কিডস জোনে কয়েকজন বসে আড্ডা দিচ্ছে গল্প করছে। আড্ডার মধ্যমনি অভিনেতা ও আমাদের মার্মেইড ইকো ট্যুরিজমের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা অভিনেতা আরমান পারভেজ মুরাদ। ষ্টোর থেকে কিডস জোনের দূরত্ব বিশ মিটারের বেশী নয়। তার পরও ওনাদের কথা বোঝা যায় না ক্লিয়ার। আমর বোঝার ইচ্ছাও নেই তেমন। 
    হঠাৎ শুনলা মুরাদ ভাই বলছেন
    - বাতেন খানকির ছেলেকে বলেছিলাম কাজটা করতে। করেছে কিনা তা  তো বলতে পারি না।
    আমি দু’হাত দিয়ে কান চেপে ধরলাম। এমন কথা জাতীয় চলচ্চিত্র পুরষ্কার প্রাপ্ত একজন অভিনেতার কাছ থেকে  একদমই আশা করা যায় না। 

    পেঁচার দ্বীপ, কক্স বাজার
    সাইফুল বাতেন টিটো
    ১৬/০৬/২০১০

    No comments