সেপ্টেম্বরে মাদ্রাসায় ১১ শিশু ধর্ষণের শিকার ৭ শিশুর উপর চলেছে অমানবিক নির্যাতন ।। সাইফুল বাতেন টিটো
![]() |
প্রতীকি ছবি |
কোভিড ১৯-এর কারণে সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান
সরকারী নির্দেশনায় বন্ধ থাকলেও কোরবানীর চামড়া সংগ্রহের জন্য সরকারকে চাপ দিয়ে কওমি
মাদ্রাসা কর্তৃীপক্ষ কওমি মদরাসা খুলিয়েছে। আমার করা এই ধারাবাহিক প্রতিবেদ যারা পড়েছেন
তারা খেয়াল করে দেখবেন ২০২০ সালের কওমি মাদরাসায় শিশু ধর্ষণের গ্রাফ কেমন হঠাৎ ওঠানামা
করেছে। লকডাউনের আগের মসে কটা ধর্ষণ হয়েছে আর লকডাউনের সময় কটা আর লকডাউন অমান্য করে
মাদরাসা খোলার পরে কটা শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে।
যাই হোক মূল আলোচনায় আসি।
সেপ্টেম্বর ২০২০ সালে সারা দেশ থেকে আমরা মোট ১৬ ধর্ষণ ও নির্যাতনের সংবাদ পেয়েছি।
উল্লেখ্য যে আমি যে সকল সংবাদ সংগ্রহ করতে পেরেছি এমন নয়। আগেও বলেছি আসল ঘটনার .০১%
ও সংবাদে আসে না। এই ১৬টি ঘটনার মধ্যে শুধু ধর্ষণের শিকার হয়েছে ১১টি শিশু, যার মধ্যে
একটি মেয়ে শিশু রয়েছে। ধর্ষণ শেষে দুটি ছেলে শিশুকে হত্যা করা হয়েছে। ধর্ষণের চেষ্টা
চালানো হয়েছে ৪টি শিশুর উপর। ০৭ টি শশুর উপর চালানো হয়েছে অমানবিক শারিরীক নির্যাতন
যাদের মধ্যে একটি শিশুকে শিকল দিয়ে বেঁধেও নির্যাতন করা হয়েছে।
এবারের সংবাদ পর্যালচানায়
শুরুতেই কথা বলবো ৪ সেপ্টেম্বর ২০২০ তারিখে বাংলাদেশ প্রতিদিনে প্রকাশিত একটি সংবাদ
নিয়ে। যার শিরনাম ‘ছাত্রীকে মেরে হাড় ভেঙে ফেলার অভিযোগ’। খবরে প্রকাশ এক কওমি মাদ্রাসার
১১ বছরের একটি শিশুর কনুইয়ের হাত ভেঙে দিয়েছে মহিলা শিক্ষক। আমি যখন কওমি মাদরাসার
শিশুধর্ষণ ও নির্যাতন বন্ধের নানা বিষয় নিয়ে লাইভ করি তখন অনেকে বলেন যে কওমি মাদরাসার
শিশুদের নারী শিক্ষক দিয়ে পাঠদান করালে ধর্ষণ ও নির্যাতন কমবে। আমি তাদের কাছে জানতে
চাই ‘ভাই কলা গাছের গোড়া দিয়ে কখনও কাঁঠাল চারা বের হয়?’ কওমি মাদরাসা ছেলের জন্য হোক
কী মেয়ের জন্য হোক ওটা একটা কনসেন্ট্রেশন ক্যাম্প। আর তার শিক্ষকেরা একেকজন তাদের ছাত্রদের
উপর নানা অত্যাচার নিপিড়ন চালায়। তারা এসব শিখে বড় হয়ে শিশুদের উপরেই প্রয়োগ করে।
তা নারী হোক বা পুরুষ হোক। নারী শিক্ষক হলেই শিশু নির্যাতন করবে না এমন গ্যারান্টি
কেউ দিতে পারে না তার প্রমান তো এই সংবাদেই পেলেন। প্রতিবছর কতোটি শিশু শিক্ষকের নির্যাতনের
ফলে অঙ্গহানি ঘটে আর তারা পঙ্গু জীবন বেছে নেয় তা আমি এই বয়ে অবশ্যই উল্লেখ করবো।
অক্টোবরে মাদরাসায় ৩৩ শিশু ধর্ষণ ও ৬৬ শিশু অবানবিক নির্যাতনের শিকার ।। সাইফুল বাতেন টিট ো
০৬ সেপ্টেম্বরের দৈনিক প্রথম আলোতে পেলাম একটি খবর, যার শিরনাম ‘খাল থেকে মাদ্রাসাছাত্রের লাশ উদ্ধার’। এমন খবর কিন্তু নতুন না। প্রায়ই মাদরাসার ছাত্রদের লাশ আশপাশের খাল, ডোবা নদী এসব যায়গায় পাওয়া যায়। সবাই বেশ শ্রদ্ধা করে বলে ‘এসব বদ জ্বিনের কাজ’। খবরে প্রকাশ ‘শনিবার রাতে একসঙ্গে খাওয়া শেষ করে সবাই ঘুমিয়ে পড়ে। সকালে ক্লাস শুরুর আগে শিক্ষক হাজিরা নেওয়ার সময় দেখেন আবু মুসা অনুপস্থিত। কিছুক্ষণ পর স্থানীয় লোকজন মাদ্রাসায় এসে জানান, খালের পাড়ে এক ছাত্রের লাশ পড়ে আছে। খবর পেয়ে সেখানে গিয়ে মাদ্রাসার ১৫০ গজ দূরে আবু মুসার লাশ দেখতে পায় শিক্ষার্থীরা। পরে মাদ্রাসার শিক্ষকেরা পুলিশকে বিষয়টি জানান।’ কতো সহজ হিসাব! রাতে ঘুমিয়েছে, কথিত জিনের কথিত রাজ্য কোহেকাফ থেকে জিন উড়ে এসে শিশুটিকে হত্যা করে খালে ফেলে রেখে গেছে, কারণ জিনের সাথে শিশুটির জমিজমা নিয়ে বিরোধ ছিলো। বাস্তবে এটা হওয়া খুবই সম্ভব যে রাতে মাদ্রাসার কোনো এক শিক্ষক তাকে খেদমত করার নামে নিয়ে ধর্ষণ করে শিশুটিকে হত্যা করে রাতের আঁধারে লাশ নিয়ে খালে ফেলে দেয়। ধর্ষণ শেষ হত্যা অনেক পুরাতন একটি অপরাধ। এটি ছেলে মেয়ে উভয়ের ক্ষেত্রেই ঘটতে পারে। তবে মাদ্রাসায় যেখানে জিন নমাক এক কাল্পনিক প্রাণীর উপর দোষ চাপানোর সুযোগ আছে সেটি তারা সেই সুযোগটি খুব সুন্দর ভাবে ব্যাবহার করে। জিনের কথা যখন একজন হাফেজ মাওলানা বেশ ভক্তি সহকারে বয়ান করে তখন গ্রামের সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষ অবশ্যই বিশ্বাস করে। তাদের বিশ্বাস না তো কোনো উপায় নেই। অনেক সময় দেখা যায় এইসব হুজুরদের কথা তারা কোরান হাদিসের চেয়ে বেশি গুরুত্ব দেয়। কারণ এইসকল মানুষেরা মারাত্বক ধর্মপ্রাণ হলেও তাদের আসলে ধর্ম মম্পর্ক কোনো জ্ঞানই থাকে না। কারণ তারা কখনওই কোরান হাদিস পড়ে দেখেনি। এই মাওলানা সাহেবেরাই এদেশের সাধারণ মানুষের কাছে কোরান হাদিস। তার উপর যদি শিশুটির কোনো মানসিক সমস্যা থাকে বা একটু দুষ্ট প্রকৃতির হয় তাহলে তো কোনো কথাই নেই, জিনের গল্পটা তখন তার ধর্ষক শিক্ষকেরা আরো শক্তভাবে প্রতিষ্ঠিত করতে পারে। আমি যখন বিষফোঁড়া বইটি লিখি তখন এক অভিবাক বলেছিলেন তাঁদের সন্তান ঘুমের মধ্যে কাথা বলতো আবার ঘুমের মধ্যে হাঁটতোও। তারা ধরেই নিয়েছিলো ঐ শিশুটির সাথে জিন রয়েছে। তারা কোরান হাদিস দিয়ে চিকিৎসা করতে লাগলো।
এটা কিন্তু দুয়েকটি ঘটনার উদাহরণ না বা এটা কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা না। খুবই নিয়োমিত একটি বিষয়। এই জিনের ছাড়িয়ে বা জিনে ধরা রোগী চিকিৎসা করে লাখ লাখ টাকা কামাই করে এই কওমি মাদরাসা থেকে পাশ করা শিক্ষকেরা। সাধারণ মানুষকে বোকা বানিয়ে নিজেরা বিশাল কিছু একটা সেজে বসে থাকে। তাদের ফেইসবুক পেইজ রয়েছে, রয়েছে ইউটিব চ্যানেল। সেখানে তারা এই জিন ছাড়ানোর বিজ্ঞাপন দিয়ে তা আবার বুস্ট করে দেয়। ইউইটিউবে দেয় প্রতিটি জিন ছাড়ানোর ভিডিও। তার নিজের মন্তব্যগুলো দেখলে বোঝা যায় দেশের ৭৫% মানুষ সেটি ভক্তিসহকারে বিশ্বা করে। আর এই বিশ্বাসের উপর ভিত্তি করে প্রতিবছর শিশু নারী সহ শত শত মানুষ হত্যা করা হয়। এটা হলো বিশ্বাসের ভাইরাস।
১৪ই সেপ্টেম্বরে প্রকাশিত বাংলা ট্রিবিউনের একটি সংবাদ শিরনাম এরকম -আশুলয়িার মাদ্রাসায়
শিক্ষার্থীকে নির্মিমভাবে পটোলো শক্ষিক’ এই সংবাদ প্রকাশের আগেই এই পিটানের ভিডিওটি ভাইরাল হয়ে যায়। আমিও যথারীতি আমার পেইজ থেকে ভিডিওটি শেয়ার করি। সেখানে দেখা যায় সিসি ক্যামেরার একটি ফুটেজ। সামনে বেশ কিছু ছাত্র বসে পড়ছে। ঘিয়া রঙের পাঞ্জাবি আর লুঙ্গি পড়া এক বিশাল সাইজের সুঠাম দেহি এক হুজুর সাত আট বছরের একটি শিশুকে শরীরের সর্বশক্তি দিয়ে পেটাচ্ছে। যেন একেবারে বিষফোঁড়া বইয়ের প্রথম দৃশ্যের স্যুটিং। পাশে আরেকটি শিশু হাত-পা বাঁধা অবস্থায় পরে আছে। পরবর্তী ভিডিওটিতে দেখা যায় ঐ শিক্ষক ঘেমে তার পাঞ্জাবি খুলে ফেলে পাশে বাঁধা
শিশুটিকে
অমানুষিক ভাবে পেটাচ্ছে। কোনো ভয়ঙ্কও অপরাধীকে থানার সবচাইতে খারাপ দারোগাটিও এভাবে পেটায় না। ঐ পেটানো দেখে আমার ৬০ বছরের মা দুইদিন কোন কিছু খেতে পারেননি, শুধু কেঁদেছেন। আমার মনেহয় শুধু আমার মা নন, অনেক মানুষের চোখে জল এনেছে ঐ নির্মমতা। ঐ শিক্ষক যখন শিশুটিকে ওভাবে পিটাচ্ছিল তখন শিশুটি ঐ শিক্ষকের পা ধরে যেখাবে বাঁচার আকুতি করছিলো তা দেখলে কারো চোখের পানি ধরে রাখা সম্ভব না। সবচাইতে ভয়ের খবর কী জানেন? এই একটি মাত্র দৃশ্য আমাদের সামনে এসেছে। কিন্তু প্রতিদিন এদেশের লক্ষাধিক মাদ্রাসায় এই ঘটনা প্রতিদিন কয়েক লাখ শিশুর সাথে প্রতিনিয়ত ঘটে। প্রতিদিন, প্রতি সময়। আর এটা সবাই জানে। এখন একবার ভাবুন এভাবে যদি একটি শিশু দিনের বেলা এমন নির্যাতনের শিকার হয় আর রাতে ধর্ষণের শিকার হয় তাহলে তার মানুসিক অবস্থাটা কেমন থাকে? যে কী শেখে? আমাকে বলেন তো যে সে কেন হিংস্র মানসিকতার হবে না? সে কেন প্রতিশোধপরায়ন হবে না? সে কেন জঙ্গি হবে না?
Documenting Child Abuse In Madrasas in Bangladesh
৬ সেপ্টেম্বর একটি শিশুকে হত্যা করার ঠিক ১০দিনের মাথায় ১৫ সেপ্টেম্বর আমরা আবার একটি শিশুকে হত্যার সংবাদ পাই। এমনটা আর কোন কোন প্রতিষ্ঠানে হয়েছে বা হচ্ছে আমাকে একটু জানাবেন আপনাদের জানা থাকলে। আর একটু হিসাব রাখবেন বছর শেষে আমারা কতটি শিশুকে হারালাম ধর্মীয় শিক্ষার নামে। এই হত্যাটিও নিশ্চই জিনের নামে চালিয়ে দেয়া হয়েছে?
মাদ্রাসার শিশুধর্ষণ
ও নির্যাতন প্রতিবেদন সেপ্টেম্বর ২০২০
(বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক ও অনলাইল পত্রিকায়
অনলাইনে প্রাপ্ত সংবাদের ভিত্তিতে করা)
প্রতিবেদন প্রস্তুতকারকঃ সাইফুল বাতেন
টিটো
তারিখ |
শিরনাম |
পত্রিকা |
জেলা |
শিশু |
সংখা |
ধরণ |
২সেপ্টেম্বর |
শিশু
ধর্ষণ চেষ্টা: মাদ্রাসা শিক্ষক গ্রেফতার |
ঢাকা
ট্রিবিউন
|
টাঙ্গাইল |
মেয়ে |
০১ |
ধর্ষণ |
৪
সেপ্টেম্বর |
ছাত্রীকে
মেরে হাড় ভেঙে ফেলার অভিযোগ |
বাংলাদেশ
প্রতিদিন |
পটুয়াখালী |
মেয়ে |
০১ |
শারীরিক
নির্যাতন |
৬
সেপ্টেম্বর |
খাল
থেকে মাদ্রাসাছাত্রের লাশ উদ্ধার |
দৈনিক
প্রথম আলো |
দিনাজপুরে |
ছেলে |
০১ |
ধর্ষণ
ও হত্যা |
৭
সেপ্টেম্বর |
হেফজখানার
শিশুটি ৬ মাস ধরে বলাৎকার হচ্ছিল মাওলানার হাতে |
চট্টগ্রাম
প্রতিদিন
|
চট্টগ্রাম |
ছেলে |
০৬ |
ধর্ষণ |
৮
সেপ্টেম্বর |
বরিশালে
শিশু ছাত্রকে বলাৎকারের অভিযোগে মাদরাসা শিক্ষক গ্রেফতার |
দৈনিক
সমকাল
|
বরিশাল |
ছেলে |
০১ |
ধর্ষণ |
৯
সেপ্টেম্বর |
শিশু শিক্ষার্থীকে পায়ে শিকল বেঁধে নির্যাতন,
মুহতামিম গ্রেপ্তার
|
দৈনিক কালের কণ্ঠ |
দিনাজপুর |
ছেলে |
০১ |
শিকল
দিয়ে বেঁধে নির্যাতন |
১০
সেপ্টেম্বর |
সোনাগাজীতে
বলাৎকারের শিকার মাদ্রাসা ছাত্র |
দৈনিক
মানবজমিন |
নোয়াখালি |
ছেলে |
০১ |
ধর্ষণ |
১৩
সেপ্টেম্বর |
সাভারে
বলাৎকারে ব্যর্থ হয়ে শিশু শিক্ষার্থীকে মারধরের অভিযোগ |
সময়
নিউজ ডট টিভি
|
সাভার |
ছেলে |
০১ |
ধর্ষণ
চেষ্টা ও শারিরীক নির্যাতন |
১৪
সেপ্টেম্বর |
আশুলিয়ার
মাদ্রাসায় শিক্ষার্থীকে নির্মমভাবে পেটালো শিক্ষক |
বাংলা
ট্রিবিউন
|
সাভার |
ছেলে |
০২ |
শারিরীক
নির্যাতন |
১৫
সেপ্টেম্বর |
মাদ্রাসা
থেকে নিখোঁজ ছাত্রের লাশ মিলল পুকুরে |
সময়
নিউজ |
কিশোরগঞ্জে |
ছেলে |
০১ |
ধর্ষণ
ও হত্যা |
১৭
সেপ্টেম্বর |
শিশুকে
ধর্ষণের চেষ্টা, কারাগারে শিক্ষক |
ঢাকা
ট্রিবিউন |
নোয়াখালী |
মেয়ে |
০১ |
ধর্ষণের
চেষ্টা |
২৫
সেপ্টেম্বর |
গরম
চা ঢেলে শিশুর গলা ঝলসে দিলেন মক্তবের শিক্ষক |
দৈনিক
সমকাল
|
সিলেট |
ছেলে |
০১ |
শারিরীক
নির্যাতন |
২৬
সেপ্টেম্বর |
মাদরাসা
ছাত্রীকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে অধ্যক্ষের নামে মামলা |
বার্তা
২৪ ডট কম |
নেত্রকোনা |
মেয়ে |
০১ |
ধর্ষণের
চেষ্টা |
২৮
সেপ্টেম্বর |
ছাত্রকে
লাঠি দিয়ে পিটিয়ে শিক্ষক কারাগারে
|
বাংলা
ট্রিবিউন |
বরিশাল |
ছেলে |
০১ |
শারিরীক
নির্যাতন |
২৯
সেপ্টেম্বর |
সিদ্ধিরগঞ্জে
দুই মাদ্রাসা ছাত্রকে বলাৎকার, শিক্ষক গ্রেফতার |
দৈনিক
জনকণ্ঠ
|
নারায়নগঞ্জ
|
ছেলে |
০২ |
ধর্ষণ |
৩০
সেপ্টেম্বর |
আশুলিয়ায়
শিশু শিক্ষার্থীকে ধর্ষণচেষ্টা, মাদ্রাসা শিক্ষক পলাতক |
দেশ
রুপান্তর
|
সাভার |
ছেলে |
০১ |
ধর্ষণের
চেষ্টা |
সাইফুল বাতেন টিটো
লেখক ও গণমাধ্যম কর্মী
No comments