Header Ads

CODESMITE
  • সাম্প্রতিক লেখা:

    দেশের সমস্ত মাদ্রাসার শিক্ষকদের পর্যাপ্ত পরিমাণে সেক্সটয় সরবরাহ করা হোক ।। আহমেদ সায়েম




    মাদ্রাসায় যৌন নিপীড়ন: 'অত্যন্ত চিন্তিত' মাদ্রাসার কর্তৃপক্ষরা
    কিন্তু তাঁরা কোনো সমাধান খুঁজে পাচ্ছেন না। তাই
    করণীয় হিসেবে যথাযথ কতৃপক্ষের নিকট আমাদের দাবি এবং সমস্যার আলোকে ভিন্ন একটি প্রস্তাব পেশ করা যেতেই পারে।
    প্রস্তাবটি হচ্ছে ; দেশের সমস্ত মাদ্রাসার শিক্ষকদের পর্যাপ্ত পরিমাণে সেক্স টয় সরবরাহ করা যেতে পারে। এতে করে হজুরদের ধর্ষণের প্রবণতা কমবে কি-না আমরা জানি না। তবে আশা করা যায় যে,
    শিশুদের ধর্ষণের চাপ কিছুটা হলেও লাঘব হতে পারে। এখন কথা হচ্ছে কে সরবরাহ করবে সেক্স টয়?
    আমাদের কথা হচ্ছে, ধর্ম মন্ত্রণালয় করবে? পৃথিবীর একমাত্র ধর্ম মন্ত্রণালয়ের দেশ বাঙলাদেশে!
    এবং প্রিয় স্বদেশ ধার্মিকদের দ্বারাই বেশি আক্রান্ত, তাই ধর্ম মন্ত্রণালয়ের এটা নৈতিক দ্বায়িত্বের মধ্যে।
    আবার দেশের সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর শিক্ষকরাও একই কাজের কাজী। এবং করপোরেট হাউজ থেকে মিডিয়া হাউজগুলোও একই অভিযোগে অভিযুক্ত। সাম্প্রতিক ‘মি টু’ আন্দোলন অনেক মিডিয়া ব্যক্তিত্বের মুখোশ খুলে দিয়েছে।তাই
    তাঁদের মাঝেও সেক্স টয় সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় সরবরাহ
    করতে পারে।
    প্রাসঙ্গিক ভাবে আরো কিছু কথা উল্লেখ করছি।
    ধর্ষণ একটি বৈশ্বিক সমস্যা।
    এটা শুধু বাঙলাদেশের সমস্যা নয়। ধর্ষণ মহামারি মতো ছড়িয়ে আছে বিশ্বব্যাপী।
    উন্নত ও অনুন্নত দেশে আইন করেও ধর্ষণ রোধ করা সম্ভব হচ্ছে না।
    এ জন্যে দরকার মানুষকে যথাসম্ভব সচেতন করে তোলা। পাশাপাশি আইনেরও কিছু প্রয়োগ প্রয়োজন।
    একটি উদাহরণ উল্লেখ করা যেতে পারে। আমাদের দেশে এক সময়ে নারীর প্রতি এসিড সন্ত্রাস ভয়াবহ অবস্থায় ছিল। সেই সময় প্রচুর পরিমাণ সরকারী ও বেসরকারী সচেতনতা মূলক বিজ্ঞাপন, নাটক, ডকুমেন্টারি এবং আইনের যথাযথ প্রয়োগ এসিড সন্ত্রাস প্রায় শুন্য কোটায় নিয়ে এসেছিলো।
    দুই/
    আসলে ধার্মিকরা কেন ধর্ষক হয়ে উঠে, অথবা অন্যান্য 'হোমো স্যাপিয়েন্স'
    কেন এই প্রবণতায় ভুগছে তার স্পষ্ট তল কিছুটা হলেও মিলে
    ব্রাউনমিলার
    ও অনান্য নারীবাদীদের কথার মাঝে।
    ব্রাউন মিলার বলছে,
    " ধর্ষণ কিছু বিকৃত মনোব্যধিগ্রস্ত মানুষের কাজ নয়,
    সমাজেরই কাজ, ধর্ষণ বিকারগ্রস্তদের রোগও নয়। পিতৃততন্ত্রেরই রোগ।
    ব্রউনমিলার আরো বলেছেন, "প্রাগৈতিহাসিক কাল থেকে আজ পর্যন্ত , আমার বিশ্বাস, ধর্ষণ এক চরম ভূমিকা পালন করে এসেছে,
    এটা এক সচেতন ভীতিপ্রদর্শন প্রক্রিয়া, যার সাহায্যে সব পুরুষ সব নারীকে রাখে সন্ত্রস্ত অবস্থায়। ধর্ষণ এক রাজনীতিক অপরাধ। ধর্ষণ যে রাজনৈতিক অস্ত্র, এ- মতের বিকাশ ঘটে যুক্তরাষ্ট্রে, কেননা সেখানেই লৈঙ্গিক রাজনীতিতে ধর্ষণ একটি বড় হাতিয়ার ব'লে গন্য হয়। এই যুক্তরাষ্ট্রেই ধর্ষণ ভীতিকরভাবে বেশি।" তাই উন্নত, অনুন্নত, ধার্মিক, নিধার্মিক দেশ বলে কোন কথা নয়।
    তিন/
    আমাদের ধর্মগুলোর যখন নৈতিক শিক্ষা ধার্মিকদের আত্মশুদ্ধি পথে আনতে পারছে না। তখন রাষ্ট্রীয় ভাবে
    সামাজিক নৈতিকতার শিক্ষাও আমাদের আমলে নিতে হবে। কিন্তু কেন পারছে না? উত্তরে বলা হচ্ছে নানান কথা! আমরা বিখ্যাত নিউরোলোজিস্ট সাইকিয়াট্রিস্ট ফ্রয়েডের কিছু কথা স্বরণ করতে পারি।
    ফ্রয়েড বলছেন; মানুষ মূলত তিনটি সত্ত্বার সমন্বয়ে গঠিত। ইড, ইগো এবং সুপার ইগো। ‘ইড’ মানুষকে জৈবিক সত্ত্বার দিকে নিয়ে যায়। মানব মনের স্বভাবজাত চাহিদা পুরণে ‘ইড’ বার বার উৎসাহিত করে তোলে। সহজ করে বললে, মানুষের মন যা চায় তাই পূরণে এই ‘ইড’ কাজ করে। আর ‘ইড’ মানুষ এবং পশুর মাঝে সমানভাবে বিরাজমান। ইড-এর কোনও মানবিক দিক বা বিকাশ নেই। এর পুরোটায় মানুষ কিংবা পশুর লোভ-লালসা আর কাম চিন্তায় ভরপুর। ‘ইড’ মানুষের ভিতরের এক প্রকার সুপ্ত পশু যার প্ররোচনায় মানুষ যেকোনো অসামাজিক, অনৈতিক, অপরাধ থেকে শুরু করে খুন-ধর্ষণের মতন বর্বর কর্মকাণ্ড করতেও দ্বিধাবোধ করে না।
    ‘ইড’ আর ‘সুপার ইগো’র মাঝখানে বসবাস ‘ইগো’। ‘ইগো’র কাজ হচ্ছে ‘ইড’ এর কাজগুলোকে ঘুরিয়ে পেঁচিয়ে বাস্তবায়ন করা, সে দিকে মানুষকে প্ররোচিত করা।
    আর ‘সুপার ইগো’ হচ্ছে মানুষের বিবেক। ‘ইড’ যখন জৈবিক কামনা বাসনা পুরণ করতে উদ্দীপ্ত করে তোলে, তখন ‘সুপার ইগো’ একে বাধা দেয়। ‘সুপার ইগো’ মানুষকে সব সময় মানবিক হতে সহায়তা করে, ভাল কাজ করতে উদ্দীপ্ত করে। যদিও সুপার ইগোর প্রতি অবিচল থাকা নির্ভর করে ব্যক্তির নৈতিক, পারিবারিক, প্রাতিষ্ঠানিক এবং সামাজিক শিক্ষা এবং মূল্যবোধের উপর।"
    আমরা সবকিছুর সমন্বিত প্রচেষ্টায় যুগোপযোগী মূল্যবোধের জায়গা তৈরি করতে চাই, আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে স্বরণে রেখে।
    আমরা এ-ও জানি এ আশা সুদূরপ্রসারী। তবুও আলো ও আলোকিত মানুষ এবং দেশ গড়ার প্রচেষ্টা সবার মাঝে বিরাজ করুক।

    আহমেদ সায়েম
    ২৮ অক্টোবর ২০২০। 

    No comments