Header Ads

CODESMITE
  • সাম্প্রতিক লেখা:

    সিঙ্কিং সিঙ্কিং ড্রিঙ্কিং ওয়াটার ।। মোটাদাগের কথা


    একটি বেশী বাজেটের সিনেমার অন্যতম মার্কেটিং হলো নেগেটিভ মার্কেটিং। এই মার্কেটিং প্রকৃয়া শুরু হতে পারে কনসেপ্ট ভাবনা থেকে। সে ক্ষেত্রে কনসেপ্ট দাঁড় করিয়ে মহরত কাম সংবাদ সম্মেলনের পর থেকেই শুরু হয় দাপাদাপি। কোন একজনকে দিয়ে কেস করানো হয়। বিষয় কি? অনুমতি নেয়নাই, তয় কাহিনিতে গন্ডগোল আছে, এমন নানা কাউক্যাচাল। ঐতিহাসিক সিনেমাগুলোতে এমনটা করার সুযোগ থাকে বেশী। শুটিংএর সময় কোন কোন পরিচালক চড় থাপ্পড় পর্যন্ত হজম করতে রাজি। সঞ্জয় লীলা বনশালীরেই তো কয়েকদিন আগে তার পদ্মাবতীর ফ্লোরে ঢুইকা পোলাপানে চড়াইলো। আবার মুক্তির আগে আগে ট্রেইলর বা গানটান দেখে কেউ কেউ শ্লীলতা অশ্লীলতা টেনে আদালতে নিয়ে যায়। ধর্ম ব্যাবসায়ীরাও এসময় দাও মারে। রুবেলের হ্যাপি তার মু্ক্তির অপেক্ষায় থাকা ছিনামা লইয়া হেইদিন দ্যাখলাম তার আলেম ভাইদের কাছে কি যেন আবেদন জানাইছে। উদ্দেশ্য কিন্তু একই। এরপর মুক্তির পর নানা বিষয় ঘটে। এক নায়ক আরেক নায়কেরর দিকে পাছা ফিরাইয়া পাদ মারে পত্রিকা সেই পাদরে গু বানাইয়া বিনোদন পাতা ল্যাপ্টাই হালায়। আবার সেই ছিনেমার শ্যুটিংএর সময় নায়কের বউ কই আছিলো আর নায়ক নাইকার লগে কোন চিপায় কয়বার শুইছে তা লইয়া আরেক কনটেন্ট। আসলে কিন্তু চামে মার্কেটিং করতেছে। হা হা হা.....



    এতক্ষন যা কইলাম সবই ইন্ডিয়ায় মানে বলিউডে এই চর্চা বেশী। তয় হলিউডে যে হয় না তা কিন্তু কইনাই। তাদের পলেসিতে নানান প্যাঁচ আছে। মজার বিষয় এমন নেগেটিভ মার্কেটিং এর সাথে সেন্সর বোর্ড পর্যন্ত জড়িত থাকতে পারে। আর সিনেমা শিল্পের উন্নয়নের জন্য এমন সব কাজকাম অন্যায় বইলা গন্য হয় না।


    আচ্ছা আপনাগো কি মনে আছে একবার জলিল বর্ষার ছাড়াছাড়ির নিউজে টিভি পত্রিকার কি অবস্থা হইছিলো? জলিল গেছিলো মোহাম্মাদপুর থানায় কেস করতে। মনে আছে? জলিলের অভিযোগ বর্ষা নাকি কোন ইন্ডিয়ান না শ্রীলঙ্কানরে রেগুলার দেয়, মানে ভালোবাসা দেয় আরকি। সে জলিলের সব কিছু আত্মসাৎ করছে ইত্যাদি ইত্যাদি। যাউগ্গা সামনের দিকে আউগ্গা...... তার কিছুদিন পর মুক্তি পাইলো তার কমেডি শো (মতান্তরে সিনেমা) "নি:স্বার্থ ভালোবাসা - Hot is lav." ওমা হলে যাইয়া দেহি জলিল বর্ষার ছাড়াছাড়ির ঘটনা স্ক্রিপ্ট কইরা শ্যুট করছে। তার কয়েকদিন পর জলিল একটা হিজড়াগো পোষাক পইড়া বেশ টক টক শো করছিলো। তার কয়েকদিন পর হ্যাগো কোল জুইড়া আহাসের চান আইলো। 


    ফারুকী নাকি সিনেমা বানায়। তার টেলিফিল্মরে যহন মাইনষে ফিল্ম ফিল্ম কইরা ফাল পারে তহন আমি খুবই হতাশ হই। আহারে কত্তগুলান মানুষ ফিল্ম বোঝে না....!!! সেটা ভিন্ন আলাপ। বেচারা শিখবেই বা কোথায় কার কাছে। 

    যাউগ্গা, সামনেে দিকে আউগ্গা। সেই ফারুকী নাকি লেখক হুমায়ুন আহমেদ কে নিয়ে একটা ফিল্ম বানাইছে। তাতে নায়ক হিসেবে হুমায়ুন আহমেদের চরিত্রে অভিনয় করছে ইরফান খান। সে নাকি এই সিনেমার প্রডিউসারও বটে। যে দেশে % মানুষও এখন পর্যন্ত পাঠ্যবইয়ের বাইরে কোন বই চেনে না সেই দেশে একজন লেখকের জীবনি বানানো সিনেমায় ফারুকী ইরফান খানের মতো সুপার প্রফেশান একজন ফিল্মি মানুষকে প্রডিউস করাইতে রাজী করতে পারছে এইটা হইলো ফারুকীর সফলতা। বাকি সব হুদাই রব। ইরফান খান ইন্ডিয়ান অর্থাৎ বলিউডের মানুষ। সে তার লগ্নিকৃত টাকা উঠাতে খানিকটা ইন্ডিয়ান সিস্টেম খাটাতেই পারে। আর সেই মার্কেটিং প্রকৃয়ায় শুধু শাওন কেন হুমায়ুন আহমেদ নিজে নেই? আর আপনি আমি আমরাও আছি। সব শেষে একটা প্রশ্ন রাখি সবার কাছে। যে সিনেমায় এত্ত টাকা বাজেট, হুমায়ুন আহমেদ সাবজেক্ট সেই সিনেমা বানানোর আগে ফারুকী শাওনের সাথে কথা না বইলাই কামে হাত দিছে? ক্যান ফারুকী ভোদাই? ফারুকী আর যাই হোক অন্তত ভোদাই না। যা করেছে করছে সব ভেবে চিন্তে প্লান মতোই করছে। আমিও এই মার্কেটিংএই তৃণমূল কর্মী হিসেবেই কাজ করছি। সবাইকে ধন্যবাদ।


    লেখক ও গণমাধ্যম কর্মী
    © মোটা দাগের কথা


    No comments