#MeToo হ্যাঁ আমিও যৌন নিগ্রহের শিকার হয়েছিলাম ।। কস্মিনকালের কথা
১৯৯৬/৯৭ সালে আমি সেভেনে/এইটে পড়ি। রমজান মাস। আমাদের বাসা একটা মসজিদের পিছনে। ইউনিয়ন পর্যায়ের সবচাইতে বড় মসজিদ। বেশি সওয়াবের আশায় সেখানে তারাবি পড়ানোর জন্য মসজিদ কমিটি রায়েন্দা থেকে একজন আর সম্ভবত ভান্ডারিয়া থেকে একজন মোট দুজন তরুণ হাফেজ নিয়োগ দিয়েছে। তারা শুধু তারাবি পড়াবে। সেখানকার একজন হাফেজের নাম দেলোয়ার হোসাইন। সে আমাকে সকালবেলা সেপারা পড়াবে।
হাফেজ সাপ হুজুর আমাদের বাসায় রাতে খায়। থাকে মসজিদের মিনারে স্পেশাল রুমে। হাফেজ সাপের বয়স তখন ২৪/২৫ হবে। সে সেপারা পড়ানোর পাশাপাশি আমাকে ঈমান আকিদাও শেখাতো। ফুটবল খেলা হারাম, এক বিছানায় খালি গায়ে দুজন পুরুষ শোয়া হারাম, মাংশ বলা হারাম, মায়ের সাথে খারাপ ব্যবহার হারাম এমন আরো অনেক হালাল হারাম শেখাতো হাফেজ সাপ। আবার পর্দার আড়াল থেকা মায়ের নালিশের সাশনও করত হাতপাখার ডাঁটি দিয়ে।
আমরা গরীর হলেও সবসময় বড় বাসায় থাকতাম। একদিন বাসায় মামাবাড়ি থেকে অনেক মেহমান আসলো। ছোটবেলা থেকে আমরা তিন ভাই আলাদা ঘুমাতাম। বুঝতে পারলাম আমার বিছানাটাও দখল হয়ে যাবে।
রাতে যখন হাফেজ সাপ খেতে এলেন তখন আব্বু আদেশের সুরে বললেন ‘আজ রাতে তুই হুজুরের সাথে মসজিদে ঘুমাতে যাবি।’ আমি খানিকটা বিরক্ত হলেও আব্বুর রক্তচক্ষুর ভয়ে কিছুই বললাম না।
রাতে খাওয়া দাওয়া শেষে আমি আমার আর হাফেজ সাপ হুজুরের সেহেরি নিয়ে মিনারে চলে গেলাম। গিয়ে দেখি হাফেজ সাপ আগামী কালের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। মাথা দুলিয়ে দুলিয়ে কোরান পড়ছেন। ওনার প্রতি শ্রদ্ধা বেড়ে গেলো। আমি তখন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ জামাতের সাথে পড়ার চেষ্টা করতাম।
রাত দশটা এগারোটার দিকে যখন আমরা শোয়ার আয়োজন করছিলাম তখন অন্য হাফেজ সাপ এসে তার কাছে একটা বালিশ চাইলো। সে বলল বালিশ দেয়া যাবে না, মেহমান আছে। এ কথা বলায় অন্য হাফেজ সাপ মুচকি হাসলো। বলল - তাইলে তো আইজ আপনার.... জবাবে আমার শিক্ষক হাফেজ সাপও একটু কি যেন বলল, মুচকি হাসল। তাও ছিলো অর্থপূর্ণ আর রসে ভরপুর। বয়স কম হওয়ায় বুঝিনি।
রাতে যখন শুইলাম হুজুর সাপ আমাকে অনেক কিছু শেখাল ইসলাম নিয়ে। আমরা ঘুমিয়ে পড়লাম। সেহরির পরে আমরা অল্প একটু সময়য়ের জন্য আবার শুইলাম। তখন উনি এক পর্যায়ে আমাকে বলল ‘টিশার্ট খুলে শো, আরাম লাগবে। আমি বললাম না, ঠিক আছে থাক। বুঝলাম না তখন উনি খালিগায়ে শোয়ার ব্যপারে পূর্বের বয়ানকৃত হাদিস ভুলে গেলো কিনা।
আমি তখন চশমা পড়তাম। চোখে একটু সমস্যা ছিলো। ডাক্তারের পরামর্শ ছিলো ঘুম আর গোসল বাদে সমসময় চশমা পড়ে থাকলে একসময় চোখ ঠিক হতে পারে। আমি তাই করতাম। তো শোয়ার পর হাফেজ সাপ এক পর্যায়ে আমার কাছে জিজ্ঞেস করল আমার চোখের সমস্যা কতদিন ধরে। আমি বললাম। হাফেজ সাপ বলল তোমার মনেহয় অন্য সমস্যা আছে, এতো কম বয়সে তো চোখে সমস্যা হওয়ার কথা না। হাফেজ সাপ অন্য সময় আমার সাথে বেশ রূঢ় ব্যবহার করত। আজ ভালো ভালো কথা বলছে দেখে ভালোই লাগলো। তো আমি বললাম অন্য কোন সমস্যা নাই.... জবাবে হাফেজ সাপ বলল ‘তুমি ছোট মানুষ জানো না তোমার কী কী সমস্যা আছে।’ এরপর জিজ্ঞেস করল ‘তুমি মোসলমানি করাইছো কবে?’ আমি বললাম। তখন হাফেজ সাপ বলল তোমার চোখে সমস্যার কারণ এবার আমি বুঝতে পরছি। আমি জানতে চাইলাম কী সেটা।
তখন হাফেজ সাপ-এর ফনা বের হলো। বলল ‘তোমার নুনু মনেহয় খুব ছোট, এই জন্য চোখে সমস্যা। আমি তো অবাক! চোখের সাথে নুনুর সম্পর্ক কী? আমার ক্লাসমেটদের মধ্যে অনেকে ছিলো আমার চেয়ে বয়সে বড়। দাড়ি গোঁফ, উপর-নীচ চুলে ভরা। তাদের পেনিসের সাইজও আমার চেয়ে বড় ছিলো, তা নানা সময় দেখা হয়েছে। বিষয়টা আমার মধ্যে সন্দেহের সৃষ্টি করল। তারপরও বিষয়টি যৌনাঙ্গ বিষয়ক হওয়ার ফলে আমি লজ্জা পেলাম আর এই বিষয়ে কথা বাড়াতে চাইলাম না। উনি বললেন এর চিকিৎসা আছে তো। কই দেখি তোমার ঐটা....
আমি তব্দা খেয়ে গেলাম। হাফেজ সাপকে আমার পেনিস দেখাবো? কেন? আমি বললাম না থাক দেখতে হবে না। কিন্তু সে নাছোড় বান্দা, ট্রিটমেন্ট করেই ছাড়বে। বলল আমি তো তোমার হুজুর! তোমার ভালোর জন্য দেখতে চাই, সমস্যা কী?
আমি দেখাবো না আর উনি চিকিৎসা করেই ছাড়বে। একসময় সে জোর করে হাত দিলো। দিয়ে বলল- ইস্! তোমার অবস্থা তো খুব খারাপ! এখুনি ট্রিটমেন্ট না করলে এরকমই থাকবে। চোখের সমস্যাও ভালো হবে না। এবার আমি একটু ভড়কে গেলাম।
হাফেজ সাপ আর দেরি না করে এক টানে আমার ট্রাউজার কোমড়ের নিচে নামিয়ে ফেলল। নিজের কাপড় না খুলেই তার উত্থিত শিশ্ন আামর পশ্চাতে ঠেকালো। এবার আমি যা বোঝার বুঝে নিলাম। বয়স কম হলেও বাড়ন্ত শরীর আমার। আমি নিজেকে ছাড়ানোর চেষ্টা করতে হাফেজ সাপ খুব একটা জোরজুরি করল না। একটু দুরে গিয়ে আমি শুয়ে থাকলাম মিনিট দুয়েক। কিছু সময় পরে সে আবার তার নূরানী চিকিৎসা দেয়ার সচেষ্ট হলো। এবার আমি ভাবলাম যা আছে কপালে। যেই ভাবা সেই কাজ। একটি পা সজোরে চালিয়ে দিলাম তার দুইপায়ের মাঝ বরাবর। মাউলানা সাপ কোৎ করে একটা শব্দ করে নাক চেপে ধরলো।
যা ঘটেছে তা তো আব্বু আম্মুকে মরে গেলেও বলা সম্ভব না। তাহলে কী করব? আজান
পর্যন্ত আর ঘুমাতে পারলাম না। ভয়ে অস্থির। না জানি কী হয়! কিন্তু ফজরের আজানের আগ পর্যন্ত হাফেজ সাপ আর কোন চিকিৎসা সেবা দিতে চাইলো না। ভয় পেয়ে গেলাম- আমি কী ওনার চিকিৎসা যন্ত্র পুরোপুরি নষ্ট করে দিয়েছি। পাশ ফিরে শোয়া হাফেজ সাপ জীবিত আছে কিনা তা দেখলাম কয়েকবার। কারণ বেকায়দায় লাথি মারলে মরার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেয়া যায় না।
আমি শুয়ে আছি। আজান পরার সাথে সাথে হাফেজ সাপ উঠে গেলো। সে রুম থেকে স্তেনজায় (হাগা-মুতা) যাওয়ার সাথে সাথে আমি রেব হয়ে বাসায় ফিরলাম।
গল্পের এখানেই শেষ না। পরেরদিন দুপুরের মসজিদের পুকুরে গোসল করতে গেলাম। কিছু সময় পর হাফেজ সাপও নামল। আামর মনে হলো সে আমাকে দেখেই পুকুরে নেমেছে। আমি ভয় পেয়ে গেলাম। কিন্তু দেখলাম তার আচরণ স্বাভাবিক। আমাকে কাছে ডাকল, গেলাম। পুকুরে আর কেউ নেই। সে বলল ‘রাতে তুই ওরকম করলি কেন? আমি তোরে একটা ভালো জিনিস শিখাইতে চাইছিলাম।
আমি কিছু না ভেবেই বললাম - এখন শিখান। তখন সে বলল তুই আগে আমারটা ধরে দেখ কত্ত বড় আর তোরটা কত্ত ছোট। বুঝলাম হাফেজ সাপ এখনও আশা ছাড়েনি। আমার মাথায় সর্বকালের শ্রেষ্ঠ পোংটামির বুদ্ধি এলো। আমি ওনার উত্থিত লিঙ্গ ধরার জন্য কাছে গেলাম। গিয়ে দেখি ওমা! কি বিশাল! এরপর আবার একশন! উনি প্রেমিকের মতো বলল - কি কসির মাইনষে দেখবো তো। আমি মৈথুন করতে করতে ওনার শরীর থেকে লুঙ্গি আলাদা করে ফেলাম। আচমকা ডুব সাঁতার দিয়ে আমি পুকুরের পাড়ে চলে এলাম। উঠেই সিড়ির উপরে থাকা ওনার শুকনো কাপড় গুলো নিয়ে পালিয়ে গেলাম বন্ধু কামরুজ্জামানের বাড়িতে।
এই ঘটনার পর ঐ হাফেজ সাপকে পরের বছর আর আমাদের মসজিদে দেখিনি। তার পরের বছর আমরা ঐ এলাকা ছেড়ে অনত্র চলে গেলাম। তার খবর আর জানা হয়নি।
৮ নভেম্বর, ২০১৮
কস্মিনকালের কথা
সকল ধরণের কপিরাইটঃ সাইফুল বাতেন টিটো
ছবিটি ১৯৯৭/৯৮ সালের তোলা
No comments